রাজশাহী ৫ সংসদীয় আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আলম
রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহী -৫(পুঠিয়া-দুর্গাপুর) সংসদীয় আসনটি বরাবরই রাজনৈতিক দল গুলোর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ আসান। এই আসনে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন দলের heavyweight প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাশা করতে।
আগামী ১৩ তম জাতীয় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত এই আসনটিতে বিএনপির প্রায় ১ ডজনেরও বেশি নেতা ধানের শীষ প্রতীকের প্রত্যাশা করছেন। যাদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা শীর্ষে আছেন সংগ্রামী, দলের দুঃসময়ের সৈনিক, জনাব তারেক রহমানের আস্থাভাজন রাজশাহী জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য জনাব মোঃ রুকুনুজ্জামান আলম।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হইতে এম এ এল এল বি সম্পন্ন করেছেন। তিনি ছাত্র অবস্থায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে নাম লিখান। ১৯৮৩ সালে তিনি বানেশ্বর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক,১৯৮৮ সালে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক,১৯৯১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহবায়ক,২০০১-১৪ পর্যন্ত পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি,২০০১-০৭ সাল জেলা বিএনপির সদস্য,২০০৯-১৬ সাল জেলা বিএনপির ১ নং সহ সাংগঠনিক সম্পাদক,২০১৭-১৯ সহ সভাপতি জেলা বিএনপি,২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সহ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার স্বীকার, হয়েছেন কারা বন্দি প্রায় ২৫ মাস কারাগারে পার করেছেন।
দুর্গাপুর-পুঠিয়ার সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,এই আসনে যে সকল প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশা করছেন তাদের মধ্যে মোঃ রুকুনুজ্জামান আলম সর্বাধিক জনপ্রিয়। আলমের জনপ্রিয়তার কারণ জানতে চাইলে সাধারণ জনগণ বলেন, আলমের ৩২ বছর রাজনৈতিক জীবনে বিএনপির প্রতি তাঁর ভালবাসা, দলের জন্য ত্যাগ, গণতন্ত্র উদ্ধারে আন্দোলন, গণমানুষের জন্য দরদ, মানুষের বিপদে পাশে থাকা সর্বশেষ এক কথায় তিনি ক্লিন ইমেজের নেতা। বিএনপির নীতিনির্ধারক মহলের কাছে জণগণের দাবি ধানের শীষ প্রতীক আলম ভাইকে দেওয়ার। আমরা তাঁকে পুঠিয়া-দুর্গাপুরের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই।
আগামী ১৩ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং দলীয় প্রতিক প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে, মোঃ রুকুনুজ্জামান আলম দৈনিক ভোরের কন্ঠকে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। জনগণ তাদের যোগ্য নেতা বেছে নিবেন। দীর্ঘ ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান তাঁর এক বক্তব্যে বলেছিলেন-"আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো, আপনারা আমার হাতকে শক্তিশালী করুন আমি আপনাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ"। আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এটা অত্যন্ত আনন্দের। তিনি আরও বলেন,আমার দলীয় সকল কার্যক্রমের কারণে শত ভাগ আশা করি দল আমাকে ধানের শীষ প্রতীক দিবে। তবে দল যে সিদ্ধান্ত দিবে তা আমি মেনে নিবো। ধানের শীষ প্রতীক দল আমায় না দিয়ে যদি অন্য কাওকে দেন আমি তার জন্য বিএনপির একজন কর্মী হয়ে মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে তিনি পুঠিয়া-দুর্গাপুর বাসির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাঁকে অফুরন্ত ভালবাসা ও সমর্থন দিয়ে পাশে থাকার জন্য।