শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আজ ৩০ মে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে তিনি নিহত হন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেন এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন এবং ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখেন।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ ভোর ৬টায় নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। এছাড়া, বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, আলোচনা সভা, চিত্রপ্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা ও বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, "স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা, ঠিক সেই মুহূর্তে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা পুরো জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছে।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আগামী ১১ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এতে আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও বইমেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার অবদান স্মরণ করে বিএনপি ও সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করছেন।